পৃথিবীর কুখ্যাত সিরিয়াল কিলাররা
"রসু খাঁ",আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে এক ভয়ংকার সিরিয়াল কিলার। এই নরপিশাচ গত ৩ বছরে ১১ জন নারীকে ধর্ষন ও হত্যা করেছে। আসুন জানি পৃথিবীর কয়েকজন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারদের সম্পর্কে।
১. জিল দ্যা রাই (Gilles de Rais)
জম্ম ১৪০৪ সালে ফ্রান্সে। তাকে বিবেচনা করা হয় আধুনিক সিরিয়াল কিলারদের পথিকৃত হিসাবে। রাই তার কিলিং মিশন শুরু করার পূর্বে ছিল মিলিটারী ক্যাপ্টেন বিখ্যাত জোয়ান অব আর্ক এর অধীনে। এই ভংয়কর সিরিয়াল কিলার শতাধিক ব্যাক্তিকে হত্যা করে যাদের অধিকাংশই শিশু। তার শিকারের মধ্যে বেশীর ভাগই শিশুই ছিল ব্লন্ড চুল আর নীল চোখের অধিকারী (যেমনটি সে ছোটকালে ছিল দেখতে)। ধারনা করা হয় সে তার যৌন পূলক পেতে শিশুদের নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করত (শিকারের উপর মাস্টারবেশন করত)। তার শিকারের প্রকৃত সংখ্যা পাওয়া যায় না। বেশীরভাগ শিকারকেই সে হত্যার পর পুড়িয়ে ফেলত। ধারনা করা হয় তার শিকার সংখ্যা ৮০ থেকে ২০০। অনেকের মতে এ সংখ্যা ৬০০-র উর্দ্ধে। তার অধিকাংশ শিকারের বয়স ছিল ৬ থেকে ১৮ এর মধ্যে। যদিও রাই বালকদেরই তার শিকার হিসেবে বেশী পছন্দ করত তবে বালিকারাও তার হাত থেকে নিস্তার পেতো না।
২. রির্চাড ট্রেটন সেচ (Richard Trenton Chase)
৩. জেফরি ডামার (Jeffrey Dahmer)
জম্ম ১৯৬০ সালে। ডামারের শিকার সংখ্যা কমপক্ষে ১৭। তার হত্যাকান্ডগুলো ছিল সত্যিকার অর্থেই বিভীষিকাময়। ডামার শিকারকে জোর পূর্বক সমকামিতায় বাধ্য করা সহ তাদের অঙ্গ প্রতঙ্গ বিচ্ছিন্নকরন এবং শিকারের মাংস ভক্ষণ করত। ডামার ১৮ বছর বয়সে তার প্রথম হত্যাকান্ড ঘটায়। ১৯৮৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ১৩ বছর বয়সী একজন বালককে যৌন হয়রানির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচারে তার এক বছর সাজা হয়, সে বিচারকের কাছে দোষ স্বীকার করে এবং তাকে মেন্টাল থেরাপি দেয়ার অনুরোধ করে। ৫বছর সন্তোষজনক আচার আচরনের শর্তে তাকে প্রবেশনে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তির পরপরই সে পুনরায় হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে।১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে ডামার পুনরায় পুলিশের নিকট ধরা পড়লে তার ভয়ানক কুর্কীতিগুলো প্রকাশিত হয়ে পড়ে। বিচারে ডামারের ৯৩৭ বছর জেল হয়। বিচারকালে ডামার কারাবাসের পরিবর্তে তার মৃত্যুদন্ড কামনা করে।১৯৯৪ সালের ২৮ নভেম্বর কারাগারের জিমে কর্মরত অবস্থায় ক্রিস্টোফার স্কেভার নামক অপর একজন কয়েদীর মারাত্মক পিটুনিতে নিহত হন ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার জেফরি ডামার।
৫. আন্দ্রেই চিকাতিলো (Andrei Chikatilo)
সম্পূর্ন লেখাটির মুল লেখক সামু ব্লগের ফোরকান ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।তাই বিভান্তির অবকাশ নাই ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন