প্রাকৃতিক বিষয়ক বিশ্বের প্রথম সারির পত্তিকা/টিভি চ্যানেল ন্যাশনাল জিওগ্রাফি পত্তিকা প্রতি বছর Nature ,People এবং Places এই তিন ক্যাটাগরিতে ফটোগ্রাফী প্রতিযোগীতার আয়োজন করে থাকে যাতে বিশ্বের বাঘা বাঘা ফটোগ্রাফাররা তাদের সেরাটা বিচারকদের সামনে উপস্হাপন করে থাকে যার মধ্য থেকে তিন ক্যাটাগরি থেকে ৩ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় তবে বিজয়ী হোক বা না হোক প্রতিটি ছবিই মাথা ঘুরিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট
২০১০ সালের National Geographic Photo Contest এ Places ক্যাটাগরিতে এবার প্রথম হয়েছে আমাদের চিটাগাং পোর্টের নিচের ছবিটি
উপরের ছবিটি তুলেছেন ফটোগ্রাফার Jana Asenbrennerova ,ছবিটি আসলেই অসাধারণ নিজেও অনেকবার চিটাগাং পোর্ট দেখেছি কিন্তু এইভাবে ফটোগ্রাফারের চোখে কখনো দেখিনি সত্যি অসাধারণ ছবিটি সম্পর্কে বিচারকদের মন্তব্য এবং বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিকান
People ক্যাটাগরিতে যে ছবিটি বিজয়ী হয়েছে সেটি হলো ফটোগ্রাফার Chan Kwok Hung এর নিচের ছবিটি
আর Nature ক্যাটাগরিতে জয়ী হয়েছে Lim Boon Teck , Aaron এর নিচের ছবিটি
সামনে ন্যাশনাল জিওগ্রাফী ফটোগ্রাফি কনটেস্ট এ জয়ী হতে পারেনি কিন্তু দেখলে মাথা ঘুরে যাবার মতো সেই ধরনের ছবি গুলো নিয়ে আরেকটা পোস্ট দিবো ইনশাল্লাহ সবাই ভালো থাকবেন
ফ্রী ব্লগসাইট তৈরীর সাইট হিসেবে ব্লগারের জনপ্রিয় বিশ্বব্যাপী বিশ্বের হাজার হাজার ব্লগার প্রতিদিন ব্লগারে প্রতিদিন ব্লগিং করে
ব্লগার ব্যবহার করে একটি ব্লগ খোলা একদমই সহজ যেকেউ নিজের জন্য একটি ব্লগ কয়েকমিনিটেই খুলতে পারবে তবে ব্লগারের যে ফিচারটির প্রতি এখনও ভালো করে গুগল মনোযোগ দেয়নি তা হলো ব্লগারের কমেন্টস সিস্টেম পুরাই বিরক্তিকর সিস্টেম দেখলেই কমেন্টস দেওয়ার আগ্রহই কমে যায়
যাই হোক আজকের টিউটোরিয়ালে আমি দেখাবে কি করে আপনার ব্লগারে বিরক্তিকর কমেন্টস সিস্টেমকে ওয়ার্ডপ্রেস এর মতো বা তারচেয়ে ভালো ব্যবহার বান্ধব কমেন্টস সিস্টেমে পরিবর্তন করা যায় ঠিক আমার ব্লগের মতো
লগিন করার পর Sites নামক অপশন হতে Add blog/site এ ক্লিক করুন
আপনার ব্লগের নাম দিয়ে নেক্সট এ ক্লিক করুন
এবার বাম সাইডে দেখতে পাবেন যে আপনি কিভাবে ইন্সটল করতে চান তা জানতে চাওয়া হয়েছে
প্রথম অবস্হায় Widget ইন্সটল করতে পারেন যদি ভালো লাগে তাহলে পরে টেম্পলেট ইন্সটল করে নিয়েন
যদি Widget ইন্সটল করতে চান তাহলে widget এ ক্লিক করুন
২ নাম্বার অপশনে জানতে চাওয়া হয়েছে যে আপনি কি সবগুলো পোস্টেই এই কমেন্টস সিস্টেম চান নাকি শুধু নতুন পোস্টগুলোতে চান ?? আপনি আপনার মতো সিলেক্ট করুন
এবার Open Blogger.com এ ক্লিক করুন এবংতাহলে ডান পাশে ব্লগার সাইটে ওপেন হবে ব্লগারে লগিন করুন
আপনার ব্লগের সেটিংস এ যান তারপর Comments এ ক্লিক করুন
Under "Comments Default for Posts", select "New Posts Do Not Have Comments"
এবার সেভ করুন
এবার দেখুন চার নাম্বার অপশনে
Add widget to my blog এটাতে ক্লিক করুন
এবার ডান পাশের মেনু হতে আপনি যে ব্লগটিতে ইন্সটল করতে চান তা সিলেক্ট করে add widget এ ক্লিক করুন
এবার দেখতে পাবেন যে intense debate commnets নামে একটি Widget আপনার ব্লগে যুক্ত হয়েছে এটিকে টেনে এনে Blog post অপশনের নিচে স্হাপন করুন
ব্যাস কাজ শেষ
এবার আসি কিভাবে টেম্পলেট ইন্সটল করবো
যদি টেম্পলেট এ ইন্সটল করতে চান তাহলে টেম্পলেট সিলেক্ট করুন এবং নিচের দিকে আসুন তাহলে ব্রাউজ নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন
এবার ব্লগারে লগিন করুন তারপর Layout/design এ ক্লিক করুন তারপর Edit Html এ ক্লিক করুন এবার Download full template এ ক্লিক করলে পুরো ফাইলটি আপনার পিসিতে সেভ হবে
এবার Browse এ ক্লিক করে পুরো ফাইলটি আপলোড করার পর নিচের ছবির মতো দেখতে পাবেন
এবার উপরে কালো চিহু দেওয়া অংশটিতে ক্লিক করলে পুরো লেখাটি সিলেক্ট হবে এবার কপি করুন পুরো লেখাটি
ব্লগারের layout/design এ ক্লিক করুন তারপর Edit Html এ ক্লিক করুন এখানে বক্সের ভিতরের সবগুলো লেখা মুছে ফেলুন এবং কপি করা লেখাটি এখানে পেস্ট করুন এবং Save template এ ক্লিক করুন
ব্যাস আমাদের কাজ শেষ
আনইন্সটল করতে চাইলে Widget এর বেলায় Widget টি রিমুভ করে দিলেই হবে আর টেম্পলেট এর বেলায় Intensedebate সাইটটিতে লগিন করে যে সাইট হতে কমেন্টস রিমুভ করতে চান সেটি সিলেক্ট করে Uninstall এ ক্লিক করুন এবার আগের মতো ব্লগার হতে টেম্পলেট এর ফাইলটি ডাউনলোড করে আপলোড করুন তারপর আগের মতো এখান হতে কপি করে ব্লগারের টেম্পলেট এ পেস্ট করুন ব্যাস তাহলেই হবে
কোন ধরনের বুঝতে সমস্যা হলে আমাকে মন্তব্য করে জানান
হাবিবের স্বপ্নের চেয়ে মধুর গানটির একটা মিউজিক ভিডিও বানালাম দেখুনতো কেমন হল
নাফিস ভাইয়ের একটা পোস্টে Click This Link নাফিস ভাই গানের সাথে মিলিয়ে অনেকগুলো ছবি দিয়েছিলেন পোস্টের আইডিয়াটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল
কিছুদিন পূর্বে স্লাইড শো বানানোর খুব ভালো সফটওয়্যার পেলাম পরে দেখি এটা দিয়ে গানের সাথে মিলিয়ে সুন্দর মিউজিক ভিডিও বানানো যায়।আজকে বসে বসে গানের সাথে মিলিয়ে অনেকগুলো ছবি বের করলাম তারপর পিকচারগুলোর সাথে সবগুলো মিলিয়ে স্বপ্নের চেয়ে মধুর গানটির মিউজিক ভিডিও বানালাম দেখুনতো কেমন হয়েছে। ডাউনলোড করতে চাইলে এই ঠিকানাতে যান http://youtubedroid.com তারপর http://www.youtube.com/watch?v=ooBXxmKH07I এই ঠিকানাটি বক্সে দিয়ে তারপরআপনি কোন ফরম্যাটে ডাউনলোড করতে চান তা সিলেক্ট করে কনভার্ট এ ক্লিক করুন কিছুক্ষন পরে আপনি ডাউনলোড লিংকু দেথতে পারবেন।
রাহাত ফাতেহ আলী খান :নুসরাস ফাতেহ আলী খানের যৌগ্য উত্তরসুরী
নুসরাত ফাতেহ আলী খানকে নিয়ে না লিখলেও হয়তো চলবে কাওয়ালী দুনিয়ার শাহানশাহ বলা হয় নুসরাত ফাতেহ আলী খানকে । উনার সম্পর্কে জানতে উইকিতে টোকা মারুন নুসরাত ফাতহে আলী খানের এই গানটি দেখলেই বুঝতে পারবেন তার গলার কাজ
আর এই কিংবদন্তী গায়কের ভাইপো হলো আরেক কিংবদন্তী রাহাত ফাতেহ আলী খান আমি যার অনেক বড় ফেন নুসরাত ফাতেহ আলী খানের মতোই রাহাত খানের আধুনিক গানগুলোতেও কাওয়ালী ভাব পাওয়া যায় আর এই দুইয়ে অসাধারণ মিউজিক তৈরী হয়।
রাহাত ফাতেহ আলী খান ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানে জন্মগ্রহন করেন এবং তার চাচা নুসরাত ফাতেহ আলী খানের নিবিড় পর্যবেক্ষণে গড়ে উঠেন ।
মাত্ত ১০ বছর বয়সে উনি তার চাচা নুসরাতের সাথে ইংল্যান্ডের এক প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করেন ।তারপর ১৫ বছর বয়সে তিনি তার চাচার মিউজিক দলে অফিসিয়ালী অংশগ্রহণ করেন ১৯৯৭ সালে তার চাচা নুসরাত মারা যা্ওয়ার পর তিনি দলের হাল ধরেন
কিন্তু ২০০৪ সালে বলিউডের পাপ সিনেমার লগে তুমসে মন লাগে গানের মধ্য দিয়ে অভিষেক হবার পর তার জনপ্রিয়তা আরও ছড়িয়ে যায় তিনি বলিউডে তার জায়গা পাকাপোক্ত করে নেন একের পর এক জনপ্রিয় গান গাইতে থাকেন যেমন Jiya Dhadak Dhadak Jaaye,Bol Na Halke Halke,Jag Soona Soona Lage,Teri Ore,Ajj Din Chadheya,Surili Akhiyon Wale,Sajda etc
বর্তমানে অধিকাংশ বলিউড মুভিতেই তার গান পাওয়া যায় ।তার গানের সুফি ভাব সত্যিই অসাধারন
তিনি ইন্টারন্যাশনাল পযার্য়েও কাজ করেছেন ১৯৯৫ সালে কাজ করছেন ডেড ম্যান ওয়াকিং ছবিতে এছাড়াও হলিউডের বিভিন্ন শিল্পীর সাথে কাজ করেছেন নিচের গানটি আ্লী আজমতের গান বারাস বারাস সাওয়ান গির আয়ো রাহাত ফাতেহ আলী খান একসাথে গেয়েছেন ।অসাধারন মিউজিক কম্পজিউশন শুনে দেখুন
সায়ানের গান কবে থেকে শুনছি তা ঠিক মনে করতে পারছিনা তবে সামহোয়ারইনব্লগের একটা পোস্টে সায়ানের গানের কিছু লিরিকস দেখে ভালো লাগায় গানগুলো ডাউনলোড দিলাম পরে শুনে দেখলাম চমৎকার লিরিকস আর চমৎকার গলা গানগুলোর মাঝে জীবনের প্রতিচ্ছবি যেন আকা রয়েছে অসাধারণ আসলেই অসাধারণ
সায়ান
আমার একটা প্রিয় গান সায়ানের " এখানেই সুখ ছিলো একদিন "" আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম
প্রথম থেকেই আমি এ্যানিমেশন মুভির বিশাল ভক্ত এ্যানিমেশন মুভি সবার আগে দেখি তারপর অন্যগুলো এইমাত্ত দেখে শেষ করলাম 9 July 2010 সনে মুক্তিপাওয়া অসাধারণ একটি এ্যানিমেশন মুভি Despicable Me সত্যি অসাধারণ না দেখলে পস্তাইবেন
Despicable Me এর আইএমডিভি রেটিং 7.6/1
এখন পযর্ন্ত মোট আয় $249,787,065
নির্মাণ খরচ: $69 million
Despicable me 2 এর নিমার্নকাজ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে
মুলত ভিলেন/চোরদের কাহিনী নিয়ে সাজানো হয়েছে মুভিটা প্রথমে ভেক্টর নামে এক চোর চুরি করে মিশরের পিরামিড আর আরেক চোর গ্রু চাঁদ চুরি করার মহাপরিকল্পনা করে আর এর মাঝে চোর গ্রু তার স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য তিনজন এতিম শিশুকে এ্যাডফট নেয় .......শুরু হয় মজার কাহিনী ......;)
আমাদের ঘুরাঘুরির তালিকায় সর্বশেষ ছিলো বান্দরবন ,পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিকান
এবার আমরা চার বন্ধু ঘূরতে গেলাম নিঝুমদ্বীপে মুলত অন্যদের থেকে একটু ব্যতিক্রম জায়গায় ঘুরতে যাবো এই ধরনের চিন্তা থেকেই নিঝুমদ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্তা শুরু করলাম
আমরা চার বন্ধু রওয়ানা দিয়েছি কুমিল্লা থেকে সকাল সাতটার দিকে উপকুল বাস দিয়ে যাত্তা শুরু করলাম কুমিল্লা থেকে সরাসরি নোয়াখালি সোনাপুর । যারা ঢাকা থেকে আসতে চান তারা "ভি.আই.পি" বা "একুশে" বাসে করে নোয়াখালীর সোনাপুর আসুন
এবার বাসে অথবা সিএনজিতে করে চলে আসুন চেয়ারম্যান ঘাট ,যদি বাসে আসেন তাহলে প্রতিজন ৪৫ টাকা করে ভাড়া লাগবে আর সিএনজি ২৫০ টাকার মতো নিবে জায়গায় জায়গায় থামানোর ঝামেলা হতে বাচতে সিএনজি নেওয়াটাই বুদ্ধিমানরে কাজ হবে , ১ঘন্টা ৩০ মিনিটের মতো লাগবে ।নিচে চেয়ারম্যান ঘাটের ছবি
এবার যেতে হবে সীট্রাকে চেয়ারম্যানঘাট হতে হাতিয়ার নলছিড়া ঘাট
আমরা গিয়েছিলাম শুক্রবারে তাই ১২টার দিকে চেয়ারম্যানঘাট পৌছানো সত্ত্বেও নামাজের পরে সীট্রাক ছাড়তে ছাড়তে প্রায় ৩ টার মতো বেজে গিয়েছিলো । সীট্রাকে ভাড়া নিবে প্রতি মাথা ৭০ টাকা করে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই ঘন্টা
এছাড়াও ঢাকা হতে সরাসরি সপ্তাহে ৭দিনই বিকাল ৫টার সময় লঞ্চ যায় এই লঞ্চগুলো হাতিয়ার তমিরুদ্দিন পর্যন্ত যায় হাতিয়াতে দুটি লন্ঝঘাট আছে একটি নলছিড়া আর আরেকটি তমুরুদ্দিন । মাঝে মনপুরাতে ৩০ মিনিটের ব্রেক (৩০ বললেও ১ ঘন্টা) এই ফাকে মনপুরার বাজার এবং আশে পাশে দৌড় দিয়া ঘুরে আসা যায়
যাদের টাকা পয়সা কোন ব্যাপারই না অথবা ১০-১৫ জন সাথে আছে তারা তমুরুদ্দিন অথবা চেয়ারম্যান ঘাট হতে সরাসরি ট্রলার ভাড়া করে নিঝুমদ্বীপ চলে যেতে পারেন ভাড়া নিবে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে অথবা সকাল সকাল পৌছাতে পারলে মাছ ধররা ট্রলার খুজে দেখতে পারেন প্রতিজন মাত্ত ১০০/১৫০ টাকার মাঝে নিঝুমদ্বীপে চলে যেতে পারবেন ।
তমুরুদ্দিন অথবা নলছিড়া ঘাট হতে ম্যক্সিজাতিয় জীপে করে অথবা টেক্সি ভাড়া করে যেতে হবে জাহাজমারা ঘাট । ম্যাক্সির বেলায় ভাড়া নিবে ৪০-৪৫ টাকা আর টেক্সি ভাড়া নিতে পারে ৩০০ টাকা
আমারা হাতিয়া পৌছতে পৌছতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো কারণ চেয়ারম্যানঘাটে সাড়ে তিন ঘন্টা লেট সন্ধ্যা হওয়াতে আমরা হাতিয়াতে রাতে থাকতে হয়েছে হাতিয়াতে যদি কোন কারণে থাকতে হয় তাহলে হোটেল প্রিন্সে থাকতে পারেন
জাহাজমারা পৌছানোর পর জাহাজমারা ঘাটে যেতে হবে আর এজন্য রিকশা ভাড়া করতে হয়, প্রতি রিকশা আমরা ৭০ টাকা করে দিয়েছিলাম
জাহাজমারা ঘাট পেরুলেই নিঝুমদ্বীপ । ঘাট পার হতে প্রতি জন ১০ টাকা করে দিতে হয় তবে আমরা জেলেদের সাথে তাদের ছোট একটা নৌকাতে ৯ জন পার হয়েছিলাম নৌকাতো ডুবে ডুবে অবস্হা আল্লাহ আল্লাহ করে পার হয়েছি
নিঝুমদ্বীপে পা রাখলেই দেখতে পাবেন সবুজ বিস্তীর্ন মাঠ । এই মাঠৈই আমাদের সাথে এই অতিথির সাক্ষাত হয়েছিলো
না ভাই এখনো পৌছেনাই ;)এবার নিঝুমদ্বীপের নামারবাজার যেতে হবে অর্ধেক রিকশায় অর্ধেক হেটে ,রিকশা প্রতি ৬০-৭০ টাকা করে নিবে তারপর এক থেকে দেড়ঘন্টা হাটতে হবে
নিঝুমদ্বীপে থাকার জন্য সরকারি একটা রেষ্ট হাউজ যেটার এখন আর বেইল নাই আর একটা মসজিদ বোর্ডিং আছে
আমরা মসজিদ বোর্ডিং এ ছিলাম ৪ জন ৪০০ টাকা ভাড়া দিয়েছি দুই রুমে ছিলাম ।
আর সরকারি রেষ্ট হাউজে কোন লোক ছিলোনা তাই বলতে পারছিনা এটার কি অবস্হা :((
আমরা তাড়াতাড়ি মসজিদের পুকুরে গোসল সেরে পাশের একটা হোটেলে খেতে গেলাম সামুর অনেকের পরার্মশ মতো প্রতিটি জিনিসের দাম জিজ্ঞাস করে খেয়েছি তবে দাম কমই মনে হলো কোন ধরনের বাটপারি বা কোন কিছুই আমাদের স্পর্শ করে নাই তবে দামদর করে সবকিছু করা ভালো সাবধানের মাইর নাই
মোটা চালের ভাত খেয়ে দুইটা পিচ্চি বাচ্চাকে গাইড হিসেবে নিয়ে দিলাম রওয়ানা হরিন দেখতে ;)
সাথে একটা নৌকাও নিলাম কারণ বনের চারদিকে খাল আমাদের চিন্তা খালে খালে ঘুরবো আর নৌকা থামিয়ে বনে ঢুকবো ।
বনের মধ্যে এক জায়গায় নৌকা থামিয়ে ঢুকে গেলাম বনে হাটতে হাটতে হঠাৎ দেখা পেলাম হরিনের । হরিণ দিলো ভো দৌড় একবার দেখে তৃষ্ঞা মিটেনি তাই আবার খুজতে লাগলাম হরিণ এমনি করে অনেকবার হরিণ পেলাম প্রতিবারই দেয় ভো দৌড়
বনের ভিতরে নাদুস নুদুস কুত্তা ;) দেখতে পাবেন গাইড বললো এই কুকুর গুলো হরিণের মাঙশ খায় আবার মানুষকে দৌড়ানিও দেয় ।আমরা ভাবলাম এত বড় সাহস আশরাফুল মাখলুকাততে দৌড়ানি দেয় কুত্তায় X(( এবার আমরা হাতে লাঠি নিয়ে দিলাম দৌড়ানি কুত্তাকে :)
বনের ঠিক পশ্চিমে মেঘনার কুল ঘেষে বিচ টাইপ সবুজ একটা মাঠ আছে এই জায়গাটায় গেলাম একদম সন্ধ্যার দিকে গিয়ে বুঝতে পারলাম আরো আগে আসার দরকার ছিলো জায়গাটা আসলেই অসাধারন সন্ধ্যা হয়ে যাওয়াতে ছবিও উঠাতে পারি নাই :((
সন্ধ্যার ৭ টা পযর্ন্ত ঘুরেফিরে ণৌকা নিয়ে ঘুরে ফিরে আসলাম মসজিদ বোর্ডিং
রাতের দিকে ধুমসে খাওয়া দাওয়া করলাম প্রতিজন তিনপিস করে তিনরকমের মাছ সাথে মাছের ডিম ।
রাতের দিকে বাজারে যাওয়ার পর একজন জেলে এসে বললো তারা সকাল ৭ টায় মাছ নিয়ে ঢাকা যাচ্ছে আমরা যদি চাই তাদের সাথে যেতে পারি আমাদেরকে তারা নলছিড়া বা তমুরুদ্দিন ঘাটে নামিয়ে দিতে পারবে এজন্য দিতে হবে ৫০০ টাকা আমরা বললাম ভেবে দেখি আপনাকে আমরা জানাবো তার কিছুক্ষণ পর মসজিদের সভাপতি সাহেব এসে বললো উনি উনার শাশুড়িকে নিয়ে কাল সকালে নোয়াখালি যাবে আমরা যদি চাই উনার সাথে ট্রলারে যেতে পারি উনি ট্রলারে করে তমুরুদ্দিন যাবে তারপর সকাল ৭ টার সীট্রাকে চেয়ারম্যান ঘাট উনি রওয়ানা দিবেন রাত ৩ টায় ,রাতের বেলা নৌকা নিয়ে মেঘনাতে মজা হবে এইটা ভেবে আমরা রাজি হয়ে গেলাম কিন্তু জোয়ার ভাটার পাল্লায় পড়ে ৩টার ট্রলার ছাড়লো সকাল সাড়ে পাচটায় ।সকালের মেঘনার কুলে সুর্য উঠা আসলেই সত্যিকারের সুন্দর বিস্তৃত জলরাশির মাঝে আমাদের নৌকা আস্তে আস্তে সূর্য উঠছে ............উফ কিছু বলার নাই
আর আমাদেরকে নামিয়ে দিলো জাহাজমারা সেখান থেকে গেলাম নলছিড়া সকাল ১০টার সীট্রাকে চেয়ারম্যান ঘাট তারপর কুমিল্লা
আমরা চারজন গেলাম একদিন মাঝে একদিন থাকলাম এর পরের দিন ফিরে আসলাম মোট খরচ হয়েছে ১৭০০ টাকা করে তবে আমরা প্রতিজন ২৫০০ টাকা করে নিয়ে গিয়েছিলাম।
কিছু তথ্য
**মসজিদ বোর্ডিং এ কিছু রুমে কারেন্ট আছে কিছু রুমে মোমবাতির ব্যবস্হা তবে মোবাইল চার্জ দিতে মসজিদের মুয়াজ্জিন সাহেবের রুমে অথবা খাবার হোটেলে দিতে পারবেন খাবার হোটেলে দিতে টাকা লাগতে পারে
**খাবার খাওয়ার জন্য মসজিদের বাম পাশের প্রথম হোটেলটাতে যেতে পারেন বুড়া একটা লোক এটার মালিক ,রান্না এবং ব্যবহার দুইটাই ভালো ।
**আসার সময় মাছ ধরার ট্রলারে আসবেন নতুন অভিজ্ঞতা সাথে টাকাও বাচবে আবার ঝামেলাও কমবে ।
**যারা লন্ঝে ঢাকা যাবেন বা আসবেন তাদের সবকিছু হাতিয়ার তমুরুদদিন ঘাটে হাতিয়ার নলছিড়া ঘাটে হলো যারা সড়ক পথে আসবেন তাদের কারবার ।
**যাবার আগে অনেকেই নিঝুমদ্বীপের দরদাম না করলে ভেজালে পড়বেন বলেছিলো তবে আমরা নুন্যতম ভেজালে পড়িনি সবকিছুই দরদাম করেই খেয়েছি কোন কিছু অতিরিক্ত মনে হয়নি
**নিঝুমদ্বীপে পা রাখার সাথে সাথে কিছু ছোট বাচ্চা আপনাদের গাইড হতে চাইবে তাদের যেকোন একজন/দুইজনকে সাথে নিয়ে নিবেন তাহলেই হবে এখানে সেখানে গাইডের ব্যাপারে জিজ্ঞাস করার দরকার নাই তাহলে টাকা বেশি লাগবে কিন্তু গাইড এইসব ছোট বাচ্চাদেরকেই দিবে নিঝুমদ্বীপের গাইড এইসব বাচ্চা পুলাপাইন গাইডকে ৫০ টাকা করে দিলেই হবে এর বেশি দেওয়াটা আপনার ব্যাপার ।
**হোটেল ভাড়া প্রতি জন ১০০ টাকা করে পড়বে ।
**মোটা চালের ভাত পছন্দ না হলে বা স্পেশাল কিছু খেতে চাইলে হোটেলে বললেই উনারা রান্না করে দিবে তবে দামদর করে নিবেন আগে থেকেই ।
**সীট্রাক কোন কোন সময় ছাড়ে তা জেনে নিবেন স্হানিয় লোকজনের কাছ থেকে ।
**নোয়াখালির কিছু লোক হারামি টাইপ এদেরকে সুযোগ দিবেন না বা কমদামে পেয়ে গদগদ হয়ে যাবার দরকার নাই
মেগা পোস্ট দিয়ে দিয়েছি তারপরও যদি কোন কিছু জানার থাকে জিজ্ঞাস করুন আমিতো আছি নাকি ?
বাংলা লেখার সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার অভ্র তাদের নতুন বেটা ভার্সন Avro Keyboard 5.0.5
রিলিজ করেছে ।
যদিও আগেই অভ্রর মেহেদী ভাই অভ্রর এই নতুন রিলিজ সম্পর্কে জানিয়েছিলো তবে কবে নাগাদ রিলিজ পাবে তা জানাইনি আজকে অভ্রর সাইটে ঢুকেই দেখি সেই সুসংবাদ মানে রিলিজ হয়েছে Avro Keyboard 5.0.5 যা ডাউনলোডের জন্য প্রস্তুত ।
অভ্রর নতুন বেটা ভার্সনে কি আছে ???
অভ্রর নতুন ভার্সনের সাথে যে সবচেয়ে বড় সুখবরটা এসেছে তাহলো অভ্র এখন থেকে ওপেনসোর্স যেকেউ অভ্রর উপরে কাজ করতে পারবে ।
এছাড়াও ফোনেটিকে লেখার পদ্ধতিকে আরও সহজ সাববিল করা হয়েছে ।
নতুন লোগো সাটানো হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি ।তবে অফিসিয়ালি এখনো নতুন কি এসেছে তা জানানো হয়নি ।
আমার দৃষ্টিতে আমার জন্য আজ পুরা ঈদের দিন কারণ আজকে ভালো ভালো কিছু ছবি ক্যাপচার করতে পেরেছি । অনেকদিন ছবি নিয়ে নাচাচাড়া নেই তাই আজকে ভাবলাম দেখি হাতটা একটু নেড়ে কেমন ছবি আসে আর সেজন্য চলে গেলাম আমার মোস্ট প্রিয় স্হান গোমতির পাড় ট্রেন ব্রিজ এর কাছে ।যেতে যেতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছিলো এজন্য একটু মনটাও খারাপ হয়ে গিয়েছিলো কারণ আমার আন্ধা ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে হলে আলো বেশি থাকাটা জরুরি । ছবি কিছু তুলে সন্ধ্যার পরে বাসায় ফিরে দেখি ভালোই এসেছে ফটোশপে হালকা টাচ দেবার পর দেখি চরম লাগতেছে প্রতিটা ছবিকে [আমার দৃষ্টিতে] আজকের দিনের সেরা পাচ
এই ছবিটার কনসেপ্টাটা অনেক দিন ধরেই মাথায় ছিলো অবশেষে মোটামুটি এসেছে । সন্ধ্যারও ছায়া নামে এলোমেলো হাওয়া ভালো লাগে জীবনের এই গান গাওয়া
এই ছবিটার ব্যাপারেও এই কথা বলবো অনেক দিন ধরেই মাথায় ঘুরতেছিলো
এই ছবিটা এত ভালো হবে প্রথমে বুঝতে পারিনি পরে দেখি না ভালোইতো
গোমতি নদী আর রেল ব্রীজ
এই ছবিটার প্রধান দিক মনে হয় ফ্রেমিংটা
আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে আর হ্যা মন্তব্য করবেন অবশ্যই
হিমু সিরিজের সাম্প্রতিক রিলিজ "হিমুর আছে জল" উপন্যাস [ডাউনলোড লিংকসহ]
হুমায়ন আহমেদের তৈরী করা জনপ্রিয় চরিএ হিমু সিরিজের সর্বশেষ রিলিজ হলো " হিমুর আছে জল" অনেকেই হয়তো ভাবছেন এই বই আবার কবে বের হলো ??
আসলে এটা বই আকারে বের হয়নি এই ঈদুল ফিতরে যে অন্যদিন ম্যাগাজিন এর ঈদসংখ্যা বের হয়েছে তাতে হিমুকে নিয়ে লেখা হিমুর আছে জল উপন্যাসটি প্রকাশ করা হয়েছে
আমি নিজে হিমুর হার্ডকোর ফ্যান হবার পরও আমি নিজেও এটা জানতাম না পরে আমার এক ব্নধুর থেকে জানতে পারলাম যে হিমুর আছে জল নামে উপন্যাসটি অন্যদিন ইদ সংখ্যায় প্রকাশ করা হয়েছে ।
পরে অনেক খোজাখুজির পর নেটে খুজে পেলাম এবং ডাউনলোড করে এক নি:শ্বাসে পুরাটা পড়ে শেষ করে ফেললাম ।যদি জিজ্ঞাস করেন কেমন ?? তাহলে বললো আগের মতোই স্বাধ ।
তবে দুনিয়া কি মেয়েরা না ছেলেরা খারাপ করছে এই নিয়ে একটা ডাযলগ আছে এইটা আমার কাছে চরম লাগছে কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো ডায়লগটা এখন মনে নেই উপন্যাসেও খোজে পাচ্ছিনা ।
ডাউনলোড করে পড়ুন এবং কেমন লাগলো তা অবশ্যই শেয়ার করবেন ।
আজকে সামুতে এক ভাইয়ের পোস্ট দেখলাম উনি উনার মোবাইল হারিয়ে ফেলেছেন আর সাথে সাথে হারিয়ে গেছে সাধের কনটাক্ট নাম্বারগুলো আর বেচারার আফসুসের অভাব নাই ।
যে কারোরই মোবাইল হারালে মোবাইল হারানোর কষ্টের সাথে সাথে আরও কষ্ট যোগ হয় যখন মনে পড়ে এতগুলো কনটাক্ট নাম্বার প্রিয়মানুষের রোমান্টিক রোমান্টিক মেসেজ সব হারিয়ে গেছে ।
কিন্ত অনেকেই জানেনা মাত্ত দুই মিনিটের মাঝেই আপনার মোবাইলের কনটাক্ট নাম্বার মেসেজ ক্যালেন্ডার এন্টি সবগুলোই পিসিতে ব্যকআপ অথবা অনলাইনে ব্যাকআপ রাখা যায়।
শুধু মাত্ত নকিয়ার জন্য টিউটোরিয়াল তবে যারা অন্য ব্রান্ডের মোবাইল ব্যবহার করেন তারা http://www.google.com/mobile/sync/ গুগল সিনক্রেনাইজিং ব্যবহার করার চেষ্টা করুন বা অন্য কারো নকিয়া মোবাইল দিয়ে সিনক্রেনাইজিং করে নিতে পারেন অথবা আপনার মোবাইল ব্রান্ডের পিসি স্যুট দিয়ে কম্পিউটারে ব্যাকআপ নিয়ে নিতে পারেন ।
প্রথমে দেখাবো কি করে অনলাইনে ব্যাকআপ রাখা যায়
অনলাইনে ব্যাকআপ রাখা হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ আর সহজ যেটা আমি ব্যবহার করি । প্রথমে সরাসরি এই লিংকে চলে যান http://www.ovi.com/ নিজের যাবতীয় ইনফরমেশন দিয়ে রেজিস্টেশন করে ফেলুন
এবার লগ ইন করে হোম এ যান তাহলে নিচের ছবির মত দেখতে পাবেন
এখান হতে কনটাক্ট ব্যকআপ অপশনটিতে ক্লিক করলে নতুন উইন্ডো আসবে এখান হতে Add a Device এ ক্লিক করুন
আপনার মোবাইল মডেলটি সিলেক্ট করে নেক্সট এ ক্লিক করুন আপনার মোবাইল নাম্বার দিন তাহলে আপনাকে Ovi সেটিংস পাঠাবে এবং কম্পিউটারের স্কিনে একটি কোড দেখতে পাবেন ওভি সেটিংস সেভ করার সময় এটি মোবাইলে দিতে হবে।
সব কাজ শেষ এবার আপনার মোবাইলের ফোনবুকে যান এবং অপশন হতে সিনক্রেনাইজিং অপশনটি খুজে বের করুন তারপর স্টার্ট এ ক্লিক করুন এবার সিনক্রেনাইজিং প্রোফাইল হিসেবে অভি সিলেক্ট করুন ব্যাস দেখতে পাবেন আপনার সিনক্রেনাইজিং হয়ে গেছে ।
এবার পিসির অভি কনটাক্ট পেইজটি রিফ্রেশ করুন কিছুক্ষণের মাঝেই সমস্ত কনটাক্ট দেখতে পাবেন ওভি একাউন্টে ।
এভাবে মাঝে মাঝে সিনক্রেনাইজিং করে নিলেই হবে শুধু মাত্ত আপডেটগুলোই আসবে পুরাতনগুলো ঠিকই ওভিতে থেকে যাবে ।ওভি একাউন্ট হতে ইচ্ছামত যেকোন কনটাক্ট যোগ বিয়োগ ইডেটিং করতে পারবেন ।
এখন কথা হলো রিষ্টোর করবেন কিভাবে
একদম সহজ আপনার কন্টাক্টগুলো যেখানে আছে সেইখানে যান এবার নিচের ছবির মত Manage your device এ ক্লিক করুন
Restore Your device এ ক্লিক করুন এবং কনফার্ম করুন ।
এবার আপনার মোবাইল থেকে সিনক্রেনাইজিং করুন তাহলেই সব কনটাক্ট রিষ্টোর হয়ে যাবে ।
এখন কথা হচ্ছে নতুন মোবাইলের বেলায় একই কনটাক্ট গুলো কি করে সিনক্রেনাইজিং করবেন ।খুবই সহজ অভি একাউন্ট থেকে Add a Device এ ক্লিক করুন এবং পুরাতন পদ্ধতিতে ওভি সেটিংসটি আপনার মোবাইলে নিয়ে আসুন এবং রিষ্টোর এর পদ্ধতিতে সিনক্রেনাইজিং করে নিন ।ব্যাস কাজ শেষ
। (মোবাইল হতে আমি আমার 200 নাম্বার সিনক্রেনাইজিং করেছি এতে আমার ১ টাকা গেছে শুধু আর যারা আনলিমিটেড বা ১ জিবি ২ জিবি ব্যবহার করেন তাদের কোন টাকাই যাবেনা মানে শুধু ডাটা চার্জ কাটবে আর কোন চার্জ নাই )
কোন সমস্যা হলে মন্তব্যের ঘরে জানান আমি সমাধান করে দেবো
এবার ২য় পদ্ধতি কম্পিউটারে ব্যাকআপ রাখবেন কিভাবে
প্রথম নকিয়া পিসি স্যুটটি আপনার পিসিতে ইন্সটল করুন পিসিতে না থাকলে Click This Link ডাউনলোড করে নিন।
এবার মোবাইলটি কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করুন এবং পিসি স্যুটটি ওপেন করুন
তারপর নিচের ছবির মত ব্যকআপ অপশনে ক্লিক করুন
তাহলে ব্যাকআপ এবং রিষ্টোর নামে দুটি অপশন দেখতে পাবেন এবার ব্যাকআপে ক্লিক করুন কি কি ব্যাকআপ নিতে চান তা সিলেক্ট করুন কোথায় ব্যাকআপ রাখতে চান তা সিলেক্ট করুন ব্যাস কাজ শেষ ।রিষ্টোর করতে চাইলে রিষ্টোর এ ক্লিক করুন এবং কি কি রিষ্টোর করতে চান তা সিলেক্ট করুন অপেক্ষা করুন ব্যাস কাজ শেষ ।
আর কয়েকদিনের মাঝেই মার্কেটে পাবেন শিরোনামহীনের নতুন এ্যালবাম শিরোনামহীন রবীন্দ্রনাথ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন এই পোস্ট হতে
এই এ্যালবামের একটি গান হলো ফুলে ফুলে এই গানটি রিলিজ হবার আগেই কোনভাবে বা অফিসিয়ালি নেটে রিলিজ হয়েছে ।গানটা শুনে দেখলাম ভালোই লাগলো তাই শেয়ার আরকি !!!!!!
এই পোস্টের মাধ্যমে এখন থেকে আমি আমার প্রিয় এন৭৩ মোবাইল দিয়ে তোলা ছবিগুলো নিয়মিত শেয়ার করবো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে
ফটোগ্রাফি দিয়ে যে একটা সাবজেক্টকে কত সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলা যায় তা কয়েকদিন আগেও বুঝতাম না বড় বড় ফটোগ্রাফারের ওয়ালপেপারের মতো ছবি দেখে ভাবতাম ইস যদি আমিও ....................
কিন্তু বিধিবাম যখন এ্ই আপসোস তখন আমার হাতে কোন মোবাইল ক্যামেরাও নাই যে একটু চেষ্টা করবো আছে ১০০ মেগাপিক্সেলের নকিয়া ১১০০ !!!!!!
অবশেষে তীরে এসে হাতে পেলাম ৩.২ মেগাপিক্সেলের নকিয়া এন ৭৩ মনের ভিতরের বাসনাটাও চিল্লানি দিয়ে উঠলো ।
আগে যেখানে সবসময় মানুষ আর মানুষের ছবি উঠাতাম কারো ক্যামেরা পেলে সেখানে একটু পরিবর্তন হলো নতুন কিছু উঠানোর চেষ্টা করতে থাকলাম আর ক্যামেরার বিভিন্ন অপশন নিয়ে ঘাটাঘাটি ।
প্রথম প্রথম মোবাইলের ভিতরেই ছবিগুলো সুন্দর লাগতো পিসিতে আনলেই মন খারাপ লাগতো ধৃর কি উঠাইছি এত বাজে লাগে ক্যান তখন ভাবতাম ইস যদি এসএলআর থাকতো তাহলে ছবিগুলো ঝকঝকা হতো সাবজেক্টগুলো আরও পারফেক্ট হতো ।
পৃথিবীর সকল ফটোগ্রাফারাই তাদের ছবিগুলোকে পারফেক্ট করতে সফটওয়্যারের সাহায্য নেয় যেহেতু নিজেকে মোবাইল ফটোগ্রাফার ভাবতে শুরু করেছি তাই আমিও ভাবলাম ফটোশপটা শিখে ফেলি ।কয়েকদিন ঘাটাঘাটি করে দেখলাম আরে চরম ছবি আসেতো ফটোশপে পোর্টমাটম করলে ।
মজার ব্যাপার কি জানেন অনেকের মতো আমারও ধারণা ছিলো ছবি তোলা কত সহজ ভালা একখান ক্যামেরা দিয়ে টুস টুস টিপলেই আইসা পড়ে আর এখন বুঝি একটা ভালো ছবির কতো দাম আর ছবিকে কথা বলানো যে কত কষ্ট ।
যেহেতু আজকে বকবক বেশি করে ফেলেচি তাই আজকে আর ছবি ব্লগ দিলাম না মাত্ত দুইটা ছবি দিলাম আগামী পোস্ট পুর্ন ছবি ব্লগ পাবেন ।সেই পযর্ন্ত আল্লাহ হাফেজ সবাই ভালো থাকবেন ।
সৌর্ন্দয্যের আধার বান্দরবন ঘুরে আসলাম [তথ্য + ছবি ব্লগ]
অবশেষে ঘুরে আসলাম বাংলার অপার সৌন্দর্য্যের লীলাভুমি বান্দরবন ।যদি জানতে চান কেমন লাগলো তাহলে এক কথায় বলবো
ধনধান্য পুষ্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক, সকল দেশের সেরা
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরী সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি
সে যে আমার জন্মভূমি, সে যে আমার জন্মভূমি
অসাধারণ লেগেছে বান্দরবন বারবার এই গানের লাইনটাই মনে এসেছে এত সুন্দর আমার দেশ আর আমরা গালি দেই কি দেশে জন্মালাম কিছুই নেই ।
প্রথম থেকেই শুরু করি
আমরা ৭ জন বন্ধু মিলে অনেক দিন আগে থেকেই প্লান করে রেখেছি রাঙ্গামাটি যাবো কিন্তু যাবার এক সপ্তাহ আগে সামুর কিছু পোস্ট দেখে সিদ্ধান্ত দিলাম পরিবর্তন করে রাঙ্গামাটি নয় আমরা যাবো বান্দরবন ।সবাইকে বললাম সবাই রাজি হলো এবার রওয়ানা দেবার পালা কুমিল্লা হতে রাতের ট্রেন ২.৩০ মিনিটে কিন্তু বেরসিক ট্রেন আসলো ৪ টায় ।সাড়ে সাতটায় পৌছলাম চট্রগ্রাম তারপর মিনিবাস দিয়ে সরাসরি বদ্দারহাট বাস টার্মিনালে পৌছে গেলাম । বান্দরবন যাবার ভালো কোন বাস দেখলাম না বাধ্য হয়ে পূবার্ণীতে উঠে পড়লাম ভাড়া নিলো পার মাথা ৭০ টাকা করে ।যেতে যেতে লাগলো প্রায় আড়াই ঘন্টার মতো ।সাড়ে বারোটার মাঝেই হোটেল পেয়ে গেলাম এখন যেহেতু অফ সিজন তাই হোটেল ভাড়াও অনেক কম ৩ রুমের এক বিশাল হোটেল পেলাম ভাড়া মাত্ত ৮০০ টাকা নিলো ।
তাড়াতাড়ি করে গোসল করে প্রস্তুতি নিয়ে খাবার খেতে তাজিংডং হোটেলে গেলাম খাবার খেয়ে বের হলাম গাড়ীর খুজে আমরা ঠিক করলাম আজকে কিছু জায়গায় যাবো আর কালকে বাকীগুলো দেখবো গাড়ীওয়ালা দুই দিনের জন্য ৩৮০০ টাকা চায় আমরা বলি ৩০০০ দিবো তারপর ৩৫০০ দিবো কিন্তু কেউ একটাকা কমাতে রাজী নয় সবাই দেখলাম এক জোট ভাড়া কমাবে না অবশেষে বাধ্য হয়ে ৩৮০০ টাকায় রাজী হলাম ।
আমরা সবতো তেদড় তাই সব গাড়ীর উপরে উঠে গেলাম মানে ছাদে আরকি এত উল্টাপাল্টা রাস্তা তার উপর আমরা ঝিম ধরে সব গাড়ীর উপরে অসাধারন লাগলো
ড্রাইভার প্রথমে আমাদের নিয়ে গেলো
নীলাচল অসাধারণ লাগলো এত উচুতে পুরো শহর দেখা যাচ্ছে কিছুক্ষনের জন্য বাকরুদ্দ হয়ে গেলাম ওয়াও ওয়াও ........
ওখানে গাড়ী রাখার জন্য দিতে হলো ৫০ টাকা ।কিছুক্ষণ ছবি উঠানোর আর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার পর চলে আসলাম মেঘলা । মেঘলা হলো পার্কের মতো একটা জায়গা এর ভিতরে লেক আছে লেকের উপরে দুটো অসাধারণ ঝুলন্ত সেতু আছে রাঙ্গামাটির জুলন্ত সেতু হতেও আর্কষনীয় সেতু তার নিচে লেক দেখে আর স্হির থাকতে পারলাম না সবাই একসাথে সেতু থেকে লাফ দিয়ে পানিতে ।
এবার সরাসরি চলে গেলাম বৌদ্ধ মন্দিরে এটাকে স্বর্ন মন্দির বলা হয় মন্দিরের একদম উপরে একটু খানি স্বর্ন আছে এজন্য নাকি এই নাম ।
মন্দিরটা খূবই সুন্দর কিছুক্ষণ ওখানে সময় কাটিয়ে একটা পাহাড়ের অনেক চূড়ায় উঠলাম সুযাস্ত দেখার জন্য কিন্তু সূর্যই খুজে পেলাম না তাই সন্ধ্যার দিকে গাড়ী বিদায় দিয়ে হোটেলে ফেরত আসলাম
২য় দিন খুব ভোরে নাস্তা করে সব কিছু নিয়ে হোটেল থেকে লগআউট করে সব গাড়ীতে উঠলাম উদ্দেশ্য শৈলপ্রপাত চিম্বুক নিলগীরি হয়ে রুমাতে যাবার ।
শৈলপ্রপাত ঝরনার মতো একটা জায়গা শৈলপ্রপাত হয়ে গেলাম নীলগীরি গেলাম ।নীলগিরি এক কথায় যদি বলি অসাধারন উচুতে উঠে চারদিকে তাকালে যা দেখা যায় তার কোন তুলনা নেই ।
নীলগিরিতে যে ব্যাপারটা সবচেয়ে কঠিন লেগেছে তা হলো আমি উচুতে দাড়িয়ে আছে অনেক দুরে আমার চোখের সামনে দেখলাম একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে আর চারপাশে রোদ এই দৃশ্য দেখে কিছুক্ষনের জন্য হারিয়ে গেলাম ।নিচের ছবিতে দেখুন
নিলগিরি পর্ব শেষ করে চিম্বুক দেখলাম তারপর সরাসরি গেলাম রুমাতে উদ্দেশ্য রুমা বাজার হয়ে বগালেক + কেওক্রাডাং ।
রুমাতে গিয়ে নৌকা করে সাংগু নদী দিয়ে গেলাম রুমা বাজার যেতে ৪৫ মিনিটের মতো লাগে আমরা গেলাম নৌকার ছাদে করে পার মাথা ৩০ টাকা করে নিলো আর রিজার্ভ নিলে ৮০০ টাকা নেয় রিজার্ভ নেওয়ার দরকার নাই কারণ প্রতি ৩০ মিনিট পর পর নৌকা ছাড়ে ।
রুমা বাজার নেমে হোটেল খুজতে লাগলাম পেয়েও গেলাম একখান ৪৫০ টাকা নিলো এক রুম ৩ বেড আমরা ৭ জনের জন্য যথেষ্ট । এবার টার্গেট বগালেক হয়ে কেওক্রাডাং ।বগালেক যেতে হলে অবশ্যই টুরিষ্ট গাইড নিয়ে যেতে হয় না হয় আর্মি যেতে দেয়না ।আমরা রাতেই রুমা বাজারে গিয়ে টুরিষ্ট গাইড খুজলাম এবং কাল সকাল ৭ টার মধ্যেই আসার জণ্য বললাম ।টুরিষ্ট গাইডকে প্রতিদিনের জন্য ৩০০ টাকা করে দিতে হয়।তবে আমরা যেহেতু জানতাম না তাই ৪০০ টাকা নিলো যদি ৩০০ টাকার বেশি চায় তাহলে আর্মির ক্যাম্পে রিপোর্ট করবেন সোজা করে দিবে । বগালেক দুই ভাবে যাওয়া যায় চান্দের গাড়িতে ১১ কিমি তারপর ২ ঘন্টা হাটতে হয় অথবা ঝিরিপথ [বনের মধ্য দিয়ে ঝরনার ফলে যে রাস্তা তৈরী হয়েছে] দিয়ে সাড়ে পাচ ঘন্টা হাটতে হয়।আমরা ঠিক করলাম চান্দের গাড়িতে যাবো তবে আসার পথে ঝিরিপথে আসবো ।
সকালে গাইড নিয়ে রওয়ানা দিলাম চান্দের গাড়িতে ছোট এক গাড়িতে ২৮ জন লোক আমরা স্বভাবমতো ছাদেই উঠলাম পার মাথা ৫০ টাকা ভাড়া তবে রিজার্ভ ১৪০০ টাকা নেয়।
খুবই ঝুকিপূর্ন রাস্তা দেখলে মনে হয় মূর্ত্যুর হাতছানি এই গাড়ি কি করে এই রাস্তা উঠে এখনো মাথা ধরেনা।পথে পুলিশের কাছে নাম ধাম সব দিতে হলো । ১১ কিমি যাবার পর হাটা শুরু করলাম ২ ঘন্টা পাহাড় পাড়ি দিয়ে পৌছলাম বগালেক [সমুদ্রপৃস্ট হতে ২৭০০ ফুট উপরে লেক তবে মতান্তরে ১২শ ফুট]
সেনাবাহিনীর কাছে নাম ধাম বন্ধক রেখে একটা কটেজে উঠলাম পার মাথা ১০০ করে আর খাওয়া খরচ ।
দুপুরে খাবার পর বিশ্রাম না নিয়েই কেওক্রাডাও এর উদ্দেশ্য দিলাম সাড়ে সাত ঘন্টা লাগরো কেওক্রাডাং ঘুরে আসতে রাস্তায় কিছু ঝরনা পাবেন অসাধারণ । রাতে গানের আসর +ফাজলামি করার পর দিলাম ঘুম সকালে উঠেই কুমিল্লা যেতে হবে যে ।
এবার শুরু আসল এ্যাডভান্ঝর ।ঝিরি পর দিয়ে সাড়ে পাচ ঘন্টা হাটা ।সেনাবাহিনী হতে বিদায় নিয়ে আল্লার নামে দিলাম হাটা অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ ঝিরি পথ যে কত সুন্দর তা কল্পনা করতে পারবেন না ঝরনার পানি যাচ্ছে বড় বড় পাথর এগুলোর উপরে দিয়ে হেটে চলছি আমরা কি বলবো সাড়ে সাচ ঘন্টা হাটার পরও কাল্তি আসেনি ।ঝিরিপথে একটা বড় ঝরনা পাবেন এতে অবশ্য ই গোসল করবেন ।আমাদের টুরিষ্ট গাইডটা ছিলো খুবই ভালো আমাদের জন্য একটু পর পর পেপে কলা পেয়ারা নিয়ে আসতো ।ঝিরি পথে রওয়ানা দেবার আগে প্রায় ১০০ টা পাহাড়ী কলা কিনে নিয়েছিলাম মাত্ত ৬০ টাকায় পুরো রাস্তায় কলা খেতে খেতে এসেছি। ঝিরি পথের কিছু ছবি
এক কথায়.....................
আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর হলো বান্দরবন নিরাপত্তা নিয়ে একটু ও ভাববেন না সেনাবাহিনী এত একটিভ যে ভাবার দরকার হবেনা কোন মেয়ে একলা গেলেও সমস্যা নেই কারণ ওখানকার সবাই জানে যদি টুরিষ্টের গায়ে একটু আছড় পড়ে তাহলে সেনাবাহনী গুল্লি করে দিবে ।আপনার নুন্যতম কিছু হলে টুরিষ্ট গাইডের খবর করে দিবে ।টুরিষ্ট গাইড আমাদেরকে যেটা বলবো যে এখানে যদি কোন টুরিষ্টের কোন ক্ষতি হয় তাহলে আর্মির মাইর মাফ নাই তাই টুরিষ্টরা সবসময় নিরাপদ ।স্যালুট আর্মি ভাইদের
আমার একদিনেই বগালেক আর কেওক্রাডাং ঘুরে এসেছি যা ৯৯.৯৯% পারেনা কারণ এত হাটা অধিকাংশদেরই পক্ষে সম্ভব নয় তাই বগালেক এ অধিকাংশরাই ২ রাত থাকে রুমা বাজার হতে অবশ্যই ঝিরি পথে যাবেন নতুবা আসার সময় আসবেন ।ঝিরি পথ দিয়ে না গেলে অনেক বড় কিছু দেখা হতে বন্ঞিত হবেন ।কখন যে সময় কাটবে তা টেরই পাবেন না । আমাদের গাইডটা ছিলো খুবই ভালো নাম বেলাল রুমা বাজারে গিয়ে নাম বললেই হবে
অবশ্যই যাবেন বান্দরবন খুব সুন্দর ট্যুর দিয়ে আসলাম তবে আবারও যেতে হবে কারণ পুরোটা ঘোরা হয়নি পরের বার গেলে তাজিংডং+চাপাহাফং চুড়াতে +তিন্দু +ঝিরিপথে যাবার সময় মধ্যপথে একটা লেক নাকি আছে যার চারদিকে ঝরনা পড়ে এই জায়গা গুলো অবশ্য।ই যাবো ।আমাদের মোট (ব্যক্তিগত খরচ ছাড়া)২৫০০ টাকা করে খরচ হয়েছে ।সবাই ভালো থাকবেন আর হ্যা বিদেশ দেখার আগে আমাদের দেশটা দেখুন । আর অবশ্যই কোন ব্যাপারে জানতে ইচ্ছা হলে কমেন্টস করবেন পরবর্তীতে নতুন কোন জায়গা নিয়ে লিখবো সেই পযর্ন্ত শুভ ঘুরাঘুরি
আসছে শিরোনামহীন এর নতুন অ্যালবাম শিরোনামহীণ রবিন্দ্রনাথ
ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে আসছে শিরোনামহীন এর সম্পূর্ন নতুন একটি অ্যালবাম আর এই এ্যালবামের নাম রাখা হয়েছে শিরোনামহীণ রবীন্দ্রনাথ । আগামী কয়েকদিনের মাঝেই এই অ্যালবাম মার্কেটে পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে ।
রবীন্দ্রসংগীতকে বেইজ ধরেই গানগুলো করা হয়েছে ।
যেসব গান এ্যালবামে থাকবে তা হলো
গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির
সকাতরে ওই কাঁদিছে
শাওনগগনে ঘোর ঘনঘটা
ফুলে ফুলে
কিছু বলব বলে এসেছিলেম
পুরানো সেই দিনের কথা
যেতে যেতে একলা পথে
তুমি কি কেবলই ছবি
শুধু তোমার বানী নয়
[নিচে লিরিকসগুলোও দিলাম]
অ্যালবামের কভারপেইজের কিছু ছবি সাম্যর সৌজন্যে দিলাম [ছবিগুলো পছন্দ হয়েছে তাই পোস্ট করলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য]
গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ
গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ
আমার মন ভুলায় রে।
ওরে কার পানে মন হাত বাড়িয়ে লুটিয়ে যায় ধুলায় রে।। ও যে আমায় ঘরের বাহির করে, পায়ে-পায়ে পায়ে ধরে মরি হায় হায় রে। ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে; যায় রে কোন্ চুলায় রে। ও যে কোন্ বাঁকে কী ধন দেখাবে, কোন্খানে কী দায় ঠেকাবে– কোথায় গিয়ে শেষ মেলে যে ভেবেই না কুলায় রে।
সকাতরে ওই কাদিছে
সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা। কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।। ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা। যা-কিছু পায় হারায়ে যায়, না মানে সান্ত্বনা।। সুখ-আশে দিশে দিশে বেড়ায় কাতরে– মরীচিকা ধরিতে চায় এ মরুপ্রান্তরে।। ফুরায় বেলা, ফুরায় খেলা, সন্ধ্যা হয়ে আসে– কাঁদে তখন আকুল-মন, কাঁপে তরাসে।। কী হবে গতি, বিশ্বপতি, শান্তি কোথা আছে– তোমারে দাও, আশা পূরাও, তুমি এসো কাছে।। ।
কিছু বলব বলে এসেছিলেম, রইনু চেয়ে না বলে।। দেখিলাম, খোলা বাতায়নে মালা গাঁথ আপন-মনে, গাও গুন্-গুন্ গুঞ্জরিয়া যূথীকুঁড়ি নিয়ে কোলে।। সারা আকাশ তোমার দিকে চেয়ে ছিল অনিমিখে। মেঘ-ছেঁড়া আলো এসে পড়েছিল কালো কেশে, বাদল-মেঘে মৃদুল হাওয়ায় অলক দোলে।
পুরানো সেই দিনের কথা
পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়। ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়। আয় আর-একটিবার আয় রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়। মোরা সুখের দুখের কথা কব, প্রাণ জুড়াবে তায়।
মোরা ভোরের বেলা ফুল তুলেছি, দুলেছি দোলায়– বাজিয়ে বাঁশি গান গেয়েছি বকুলের তলায়। হায় মাঝে হল ছাড়াছাড়ি, গেলেম কে কোথায়– আবার দেখা যদি হল, সখা, প্রাণের মাঝে আয়
যেতে যেতে একলা পথে
যেতে যেতে একলা পথে নিবেছে মোর বাতি। ঝড় এসেছে ওরে ওরে, ঝড় এসেছে ওরে এবার ঝড়কে পেলেম সাথি॥ আকাশকোণে সর্বনেশে ক্ষণে ক্ষণে উঠছে হেসে, প্রলয় আমার কেশে বেশে করছে মাতামাতি॥ যে পথ দিয়ে যেতেছিলেম ভুলিয়ে দিল তারে, আবার কোথা চলতে হবে গভীর অন্ধকারে। বুঝি বা এই বজ্ররবে নূতন পথের বার্তা কবে— কোন্ পুরীতে গিয়ে তবে প্রভাত হবে রাতি
তুমি কি কেবলই ছবি
তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা। ওই-যে সুদূর নীহারিকা যারা করে আছে ভিড় আকাশের নীড়, ওই যারা দিনরাত্রি আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী গ্রহ তারা রবি, তুমি কি তাদের মত সত্য নও। হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি।। নয়নসমুখে তুমি নাই, নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই– আজি তাই শ্যামলে শ্যামল তুমি, নীলিমায় নীল। আমার নিখিল তোমাতে পেয়েছে তার অন্তরের মিল। নাহি জানি, কেহ নাহি জানে– তব সুর বাজে মোর গানে, কবির অন্তরে তুমি কবি– নও ছবি, নও ছবি, নও শুধু ছবি।
শুধু তোমার বাণী নয় গো
শুধু তোমার বাণী নয় গো, হে বন্ধু, হে প্রিয়,
মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো॥
সারা পথের ক্লান্তি আমার সারা দিনের তৃষা কেমন করে মেটাব যে খুঁজে না পাই দিশা— এ আঁধার যে পূর্ণ তোমায় সেই কথা বলিয়ো॥
হৃদয় আমার চায় যে দিতে, কেবল নিতে নয়, বয়ে বয়ে বেড়ায় সে তার যা-কিছু সঞ্চয়। হাতখানি ওই বাড়িয়ে আনো, দাও গো আমার হাতে— ধরব তারে, ভরব তারে, রাখব তারে সাথে, একলা পথের চলা আমার করব রমণীয়
সবশেষে শিরোনামহীণের গাওয়া একটা রবীন্দ্রনাথ সংগীত দিলাম
আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের ।আর হ্যা অবশ্যই মন্তব্য করে শিরোনামহীণ এর নতুন কনসেপ্ট সম্পর্কে আপনার অভিমত জানাবেন ।
[দয়া করে সবাই কিনে এ্যালবাম ব্যবহার করবেন একটা এ্যালবামের দাম ৫০ টাকা আর আমরা অণেকেই ৫০ টাকা একদিনেই শুধু মোবাইলের পিছনেই ব্যায় করে ফেলি তাই অনুরোধ রইলো শিল্পের যথাযথ সম্মান করুন]