আপনার মোবাইলে ব্রাউজার দিয়েই ডাউনলোড করুন ৪০০-৭০০ মেগাবাইট সাইজের মুভিগুলো



[পাঠকের সুবিধার্থে  পোস্টের শুরুতেই বলি আমরা পিসিতে  যে ৪০০-৭০০ মেগাবাইটের সাইজের যে মুভিগুলো ডাউনলোড করি আমি সেগুলোই মোবাইল দিয়ে ডাউনলোড করি]
 
আমার মতো অনেকেরই মুভি ডাউনলোড করার অভ্যাস/বদঅভ্যাস আছে ,প্রতিদিন অন্তত একটা মুভি ডাউনলোড করা চাই চাই । আবার অনেকেই আছে যাদের ইচ্ছা আছে ডাউনলোড করার কিন্তু নেটের শম্ভুক গতি আর ধৈর্য্যহীন হবার কারণে ডাউনলোড করতে চায়না ,একটা মুভি ডাউনলোড করতে মিনিমাম ৪-৫ ঘন্টা লেগেই যায় ,এত দীর্ঘসময় পিসি অন রাখা অনেকের কাছে বিরক্তিকর যাই হোক আমি কিন্তু ধৈর্য্যহীনদের গ্রুপেই ছিলাম ধুর রাতে ডাউনলোড দেই মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে  দেখি ডাউনলোড বন্ধ হয়ে গেছে এই রকম হাজারো ঝামেলা মাঝে মাঝে ভাবতাম ইশ মুভিগুলো যদি মোবাইলে ডাউনলোড দিতে পারতাম তাহলে একেতো বিদ্যুৎ বাচতো তার উপরে ঝামেলা অনেকটাই কমতো ।


অবশেষে একটা সমাধান পেলাম আর বর্তমানে আমি প্রতিরাতেই একটা করে মুভি ডাউনলোড করি কোন ঝামেলা ছাড়াই শুধু মোবাইলটা চার্জারে লাগিয়ে দেই ঘুম আর সকালে উঠে মুভিটা মোবাইল থেকে পিসিতে ট্রান্সফার করে ফেলি


তাহলে চলুন শুরু করি ..................কিভাবে এই কাজটা করা যায় ...............
  • প্রথমেই আপনাকে ডাউনলোড করতে হবে UC BROWSER নামক মোবাইল ব্রাউজারটি এজন্য এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে আপনার মোবাইলে  ইন্সটল করে নিন

  • এই ব্রাউজারটির ডাউনলোড ম্যানাজারটি আমার দেখা সেরা মোবাইল ডাউনলোড ম্যানাজার আমার মোবাইলে প্রায় ২৫+ কেবিপিএস করে ডাউনলোড  হয় 

  • মুভি ডাউনলোড করার বিশ্বস্ত সাইট StageVu থেকে আমরা ডাউনলোড করবো কিন্তু আপনি যখন Uc browser দিয়ে stagevu তে প্রবেশ করেন তাহলে নেক্সট পেইজ এ যেতে পারবেননা কারণ মোবাইল ব্রাউজারগুলো জাভা স্কীপ্ট সাপোর্ট করেনা 

  • এজন্য আপনাকে আপনার পিসি থেকে StageVu মুভি লিংকটি কোথাও শেয়ার করতে হবে তারপর মোবাই্ল থেকে সেই  লিংকে  ক্লিক করলে সরাসরি মুভিটির লিংকে চলে যাবে তারপর ডাউনলোড লিংকে ক্লিক করলে ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে অথবা মুভি লিংকটি সরাসরি মোবাইল ব্রাউজারের এড্রেস বারে টাইপ করতে হবে 

  • উদাহরণ স্বরুপ Astro Boy মুভিটির StageVu সরাসরি লিংক হলো http://stagevu.com/video/xvpsnnzfsyxf  এই লিংকে ক্লিক করলে StageVu যাবে সেখান থেকে ডাউনলোডে ক্লিক করলে ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে একদম পিসির মত স্পিডে 

  • StageVu লিংকগুলো ফেইসবুকে শেয়ার করতে পারেন তারপর মোবাইল থেকে Uc Browser দিয়ে ফেইসবুকে লগিন করে StageVu এর  লিংকে ক্লিক করলে সরাসরি মুভির কাছে চলে যাবেন তারপর ডাউনলোড শুরু করে দিতে পারবেন অথবা লিংকটা সরাসরি মোবাইল ব্রাউজারের এড্রেসবারে লিখতে পারেন তাহলেও হবে 

  • এছাড়া আরও একটি সাইট আছে যেটাতে কোথাও লিংক শেয়ার করা লাগেনা সরাসরি সাইটে যান ডাউনলোডে ক্লিক করুন ডাউনলোড শুরু করুন 

  • সাইটটির ঠিকানা হলো Magicp33
  • এই সাইটির একটাই সমস্যা সাইটের ভাষা আরবি তবে ভয় পাবেন না প্রথমে সাইটটিতে যান মুভির নামগুলো ইংরেজিতে লেখা মুভির নামের উপরে ক্লিক করুন নিচের দিকে যান মুভির বণর্ণার নিচের দিকে দেখবেন ডাউনলোডের একটা সিম্বল পাবেন এটাতে ক্লিক করলেই ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে


  • সাইটের ভাষা আরবি হলেও মুভির সবকিছুই ইংরেজিতে ।
আশা করি এখন থেকে সব মুভিগুলো মোবাইলেই ডাউনলোড করতে পারবেন । টিউটোরিয়ালের কোন অংশ বুঝতে সমস্যা হলে মন্তব্য করে জানাবেন আমি সমাধান দেবার চেষ্টা করবো । 

[এই পোস্টটি মার্ক ওমেগা নামক এক  ফেইসবুক ফ্রেন্ডের রিকোয়েস্টে লিখেছি]

ঘুরে আসুন কক্সবাজার সেন্টমার্টিন আর ছেড়াদ্বীপ [ ভ্রমন ব্লগ পার্ট ১]

জম্পেশ শীতের মাঝে মানুষ যখন নিজের পরিবার অথবা নব বিবাহিতরা তাদের নবপরিনীতাদের নিয়ে সমুদ্র দেখতে যায় তখন আমরা ৫ ধইনচা হাড় কাপানো শীতের রাতে ট্রেনের লেইট সমাচার শুনে ট্রেনের টিকিটগুলো কাউন্টারে ফেরত দিয়ে চিটাগাং এর বাস ধরার জন্য রাত ১০ টার দিকে কুমিল্লার নুরজাহান
ভাই ব্রাদাররা বাসের জন্য অপেক্ষারত

হোটেলের সামনে দাড়ালাম এবং দুই ঘন্টা লেইটে শ্যামলির বাস ধরলাম সরাসরি কক্সবাজার নামাবে ভাবলাম সকাল ৭/৮ টার ভিতরে পৌছতে পারলে মহেশখালী এলাকাটা দেখবো কিন্তু গরিবের কপালে কি এত সুখ সহ্য হয় ,রাস্তায় জ্যাম আর বাসের শম্ভুক গতির কল্যাণে সকাল ১১ টায় পৌছলাম তাই মহেশখালি যাবার প্ল্যান বাতিল ঘোষনা দিলাম ।

এবার হোটেল খোজার পালা, প্রথমে লাবণী বিচের একদম কাছের হোটেলগুলোতে গেলাম কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় কলাতলী রোডের হোটেলগুলোতে গেলাম সেখানে অনেকটা সস্তাই মনে হলো নিয়ে নিলাম ডবল বেডের একটা রুম হোটেল সীব্রীজে ।

** টাকা পয়সা কম খরচ করতে চাইলে সিগার্ল, কল্লোল এই হোটেলের পিছনের রাস্তাতে মানে  কলাতলি রোডের হোটেলগুলোতে চলে যান কমে পাবেন যদিও  একটু দুরে কিন্তু রিকশা  ভাড়া পড়বে প্রতিজন ৫ টাকা করে ,হিসেব করলে অণেক টাকাই বাচবে ।

হোটেলে দ্রুত সবাই ফ্রেশ হয়ে বিচে গোসল করার পোশাক পড়ে নিচে গেলাম খাবার খাওয়ার জন্য গিয়েই মনে হলো কক্সবাজারে এবার গলা কাটা যাবে খাবারের দাম অনেক বেশি মনে হলো ।

খাবার দাবার শেষ করে সরাসরি লাবণী বিচে নামলাম সমুদ্রের পানি গরম কিন্তু বেরসিক বাতাসের কারণে শরীরে ঠান্ডা লাগা শুরু করলো কিন্তু পরাজয় ডরে না বীর এর তত্ত্ব মেনে টানা ২/৩ ঘন্টা সাগরের সাথে মিতালি করে উঠলাম

** সাগরের পাড়ে বা পানিতে খুব একটা ঠান্ডার অনুভতি হয়না তাই শীতের ভয়টা না করলেও চলবে 

সারা শরীরে বিচের বালু নিয়ে হোটেলে ফিরে সবাই ফ্রেশ হয়ে নিলাম তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে ইনানী বিচে সূর্যাস্ত দেখবো এইরকম একটা প্ল্যান করলাম এবং চান্দের গাড়ী ভাড়া নিলাম যেহেতু আমরা এ্যাডভেন্জার পছন্দ করি তাই সব চান্দের গাড়ীর ছাদে 
সব গাড়ীর ছাদে শুধু লেখক ছবি তোলায় ব্যস্ত


**ইনানী বিচ যাবার জন্য তিনটা বাহন আছে প্রথমটা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দিয়ে (ফ্যামিলির জন্য আদর্শ বাহন, দাম নিবে ৬০০/৭০০টাকার মতো) দ্বিতীয়টা হলো সিএনজি দাম নিবে  ৪০০/৫০০ এর মতো আরেকটা হলো  চান্দের গাড়ী দাম নিবে ৮০০/৯০০ এর মতো এই গাড়ীগুলো আপনাকে নিয়ে হিমছড়ি আর ইনানী বিচ যাবে রাস্তায় দুইঘন্টার মতো ব্রেক  দিবে তারপর আপনাকে আবার কক্সবাজার নিয়ে আসবে


প্রথমেই গেলাম হিমছড়ি আমি আর আমার এক বন্ধু অনেকবার এই পাহাড়ে গিয়েছি বলে আমরা চলে গেলাম হিমছড়ি বিচে আর বাকিদের পাহাড়ে উঠার পরামর্শ দিলাম । যারা পাহাড়ে কষ্ট করে উঠেছে তারা ফিরে এসেই "ধুর এইটা একটা পাহাড় হইলো আর জীবনে উঠুম না হুদাই কষ্ট কইরা উঠলাম"
হিমছড়ির বিশাল বিচ


আবার ও আমাদের চান্দের গাড়ী চলা শুরু করলো আমরাও গান গাওয়া শুরু করলাম গাড়ী চলে না চলেনা চলেনারে গাড়ী চলেনা ........টুং টুং টাং ............



ইনানী বিচে প্রবেশ করলাম সূযার্স্ত দেখার জন্য ,ইনানী বিচের প্রবালগুলোতে পা রেখে রেখে ভিতরের দিকে গেলাম প্রবালে ঢেউ গুলো এসে প্রবালে আছড়ে পড়ছে সত্যি চরম দেখার মতো দৃশ্য যাই হোক অনেকক্ষন বসে রইলাম ছবি তুললাম তারপর সূযার্স্ত দেখার পর আবার কক্সবাজারে উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলাম রুমে ফিরে সবাই ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা করে নিলাম ।
ইনানী বিচের সূর্যাস্ত

আগামীকাল সকালে আবার সেন্টমার্টিন যাবার প্ল্যান তাই সেন্টমার্টিন যাবার জাহাজের খোজ নিতে
লাগলাম অবশেষে কেয়ারি সিন্দাবাদের অফিসটা খুজে পেলাম আগামীকালকের টিকেট কনফার্ম করে সি বিচে ফিরে আসলাম

** সেন্টমার্টিন যাবার জন্য অনেকগুলো জাহাজ সার্ভিস আছে যেকোন একটাতে গেলেই হলো আমরা গিয়েছি কেয়ারি সিন্দাবাদে করে ,আসা যাওয়ার টিকেট একসাথে কাটতে হবে আপনি যেদিনই ফিরে আসেন আসেন সেটা কোন সমস্যা না ।টিকেট র দাম নিচতলা ৪৫০ আর উপরতলা ৭৫০ টাকা,খুব বেশি  আরামপ্রিয়  না হলে নিচতলার টিকেট কাটুন কারণ প্রায় সবাই জাহাজ ছাড়ার সাথে সাথে জাহাজের বারান্দায় চলে আসে আর আপনি ইচ্ছা করলে দুতলায়ও চলে যেতে পারেন কেউ বাধা দিবেনা ‌আর কক্সবাজর থেকে টেকনাফ জাহাজ ঘাটে কি আপনি নিজে যাবেন ,নাকি জাহাজ কোম্পানির গাড়ীতে যাবেন সেটাও বলতে হবে যদি কক্সবাজার থেকে টেকনাফে জাহাজ কোম্পানির গাড়ী দিয়ে যেতে এবং আসতে চান তাহলে টিকেটের সাথে অতিরিক্ত মোট ২৫০ টাকা দিতে হবে ।আমার পরার্মশ হলো জাহাজ কোম্পানির গাড়ীতে যান তাহলে গাড়ী খোজার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন ।আর  কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যেতে লাগে ২ ঘন্টা আর টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে প্রায়  আড়াইঘন্টার মতো লাগে




সি  বিচে প্রবেশ করেই দেখলাম তাজা তাজা মাছ আর কাকড়া তেলে দিচ্ছে ,লোভ সামলাতে না পেরে রুপচাদা চিংড়ি আর কাকড়া মাছ খাপুস খুপুস করে খাওয়া শুরু করলাম আহ শান্তি :)


রাতের সমুদ্র আসলেই অসাধারণ, সমুদ্রের গর্জন সাথে বাতাস অনেকক্ষণ বসে বসে গান গাইলাম তারপর একেবারে রাতের খাবার খেয়ে হোটেলে ফিরে আসলাম তারপর অনেকক্ষণ কার্ড খেলে দিলাম ঘুম সকালে সকালে  উঠতে হবে যে ....................................

প্রথম পার্ট এখানেই সমাপ্ত দ্বিতীয় পর্বে সেন্টমার্টিণ


আর কোন ব্যাপারে পরামর্শ দরকার হলে আওয়াজ দিবেন

কেন আমি জেগে থাকবো ,আর সে স্বপ্ন দেখবে

 কেন আমি জেগে থাকবো?

আমাকে এভাবে স্বপ্ন থেকে করে আলাদা
জানিনা কোথায় লুকিয়ে রয়েছে খোদা 

জানিনা কবে হয়েছি নিজের থেকে আলাদা
কিভাবে বাচবো,রুহ যে আমার থেকে আলাদা

কেন আমার সত্তা 
আমাকে জিজ্ঞাস করে আমার গন্তব্য কোথায়
কেন আমার কাছে এসে
আমাকেই জিজ্ঞাস করে আমার দ্বার কোথায়  

লক্ষ্যটাই এমন যার কোন গন্তব্য নাই,
আমাকে খুজো? আমি সেখানেই থাকি এখনও 

মন এক জায়গায় শ্বাস আরেক জায়গায়
শ্বাস আছে , কিন্তু জীবিত আমি নেই

রাত জেগে আমি ভাবি 
হয়তো কোনদিন তোমাকে আমি পাবো
হঠাৎ মনে হয় 
তুমি কি এখনও আমাকে ভাবো?

আমার হাতেই আমরা জীবন চলে গেছে
ভাগ্য আমার নষ্ট হয়ে গেছে 

কিভাবে লিখবো আবার নতুন কাহিনী
কষ্ট যে আমি আমার দেখিনা

কি এমন ভুল করেছি যে
তুমি আমাকে দিয়েছো জীবন ভর সাজা

 লক্ষ্যটাই এমন যার কোন গন্তব্য নাই
আমাকে খুজো? আমি সেখানেই থাকি এখনও
  


মন একজায়গায় শ্বাস আরেক জায়গায়
শ্বাস আছে  কিন্তু জিবিত আমি নেই

কেন আমি জেগে থাকবো আর সে স্বপ্ন দেখবে
কেন আমার ভাগ্য এমন ,আমি চোখ খুলে শুয়ে থাকবো 

আমাকে এভাবে স্বপ্ন থেকে করে আলাদা
জানিনা কোথায় লুকিয়ে রয়েছে খোদা 

এই গান/কবিতাটির মুল ভাব সাফাকাত আমানত আলীর হিন্দি গান কিউ মে জাগো থেকে নেওয়া হয়েছে । আমি আমার ইচ্ছামত বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তন করেছি 

ছবিতে ঘুরে আসুন বান্দরবন [ছবি ব্লগ পার্ট ৩]

ছবিতে ছবি ঘুরে আসুন বান্দরবন পর্বের শেষ পর্ব আজকে প্রকাশ করলাম । এই পর্বের সব ছবিই আমার প্রিয় বান্দববনের আরও প্রিয় জায়গা ঝিরিপথের । অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে ঝিরিপথটা আবার কি? ঝিরিপথ হলো বনের মধ্যদিয়ে ঝরনার পানির প্রবাহের  ফলে যে পথ সৃষ্টি হয় সেটাই ঝিরিপথ । এই ঝিরিপথটা আমার সবচেয়ে প্রিয়,মরতে চাইলেও এখানে মরতে রাজি । লম্বা ঝিরিপথটা ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ তবে আপনি হাটার সময় কখন রাস্তা ফুরিয়ে যাবে তা খেয়ালই থাকবেনা
চলুন ঝিরিপথ দিয়ে ভ্রমণ শুরু করি .........

ঝিরিপথের শুরুর দিকে আমরা সবাই

এমন সৌর্দয্যের দেখা পাবেন ঝিরিপথে ,এই রাস্তা দিয়েই হেটে যেতে হবে আপনাকে
সব রাস্তা কিন্তু আনন্দের না এইরকম বিপদজনক পিচ্ছিল রাস্তাও পাবেন

এইরকম একটা বড় ঝরনা পাবেন ,পানিতে নামতে ভুলবেন না তাহলে মজার অর্ধেকটাই শেষ

 (মিডিয়ার সামনে আসতে চাচ্ছিনা এজন্য ফটুতুলতে নিষেধ করতেছি হাহাহাহা)

ঝিরিপথে আমরা 

পাহাড়ের মধ্যদিয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যেতে হবে

এইরকম ছোট ছোট কয়েকটা ঝরনা দেখতে পাবেন রাস্তায়

নদী পাড় হতে হবে নদীর মধ্যদিয়ে হেটে

অসাধারণ .......................
অসাধারণ সব রাস্তা .....
ছবিতে ঘুরে আসুন বান্দরবন [ছবি ব্লগ পার্ট ১]
ছবিতে ঘুরে আসুন বান্দরবন [ছবি ব্লগ পার্ট ২]

আমার সাথে আমার বাবার চিরচরিত টকশো [বাস্তব গল্প]

গল্পের পটভূমি :গড় হিসেব করলে প্রতি মাসে অন্তত একদিন হলেও রাতে আমি বাসার বাইরে থাকি ,হয়তো কোন সামাজিক অনুষ্ঠান  নতুবা কোন বন্ধুর বাসা খালি রাতে সবাই মিলে আড্ডা দিবো নতুবা বন্ধুবান্ধবরা মিলে দুরে কোথাও গিয়ে রাতে বারবি কিউ পার্টি করবো 

কিন্তু বাসার বাইরে থাকলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা যেটা হয় সেটা হলো তারপরের দিন সকালবেলা আমার বাবার মুখোমুখি হওয়া কারণ আমার বাবা কখনো রাতে বাইরে থাকার অনুমতি দেয়না সেজন্য আমিও আম্মাকে বলে চুপিচুপি বাসা থেকে হাওয়া হয়ে যাই আর সকালে আমি এসে চুপি চুপি বাসার কলিংবেল এর বদলে আস্তে আস্তে নক করি এবং দোয়া করি যাতে আবার বাবা বাসার বাইরে থাকে বাইরে থাকলে আপাতত বিপদ মুক্ত আর বাসায় থাকলে অধিকাংশ সময়ই দেখি, না হয় সকালের নাস্তা খাবার জন্য টেবিলে না হয় মাঝের রুমে মানে আমি যে রুমের মধ্যদিয়ে আমার নিজের রুমে যাই সে রুমে পেপার পড়ছে । আর সেক্ষেত্ত আমার বাবার সাথে যে কথাবার্তা হয় সেটা ঠিক এরকম..........


বাবা : রাতে কই ছিলি ?
আমি: গলা একদম নিচে নামিয়ে জ্বী এক বন্ধুর বাসায় 
বাবা: বন্ধূর বাসায় কি ?
আমি: হুম এমনিই [গলা এবার আরও নিচে]
বাবা: তোমার এত বন্ধূবাধব কেন ?
আমি :বন্ধূবান্ধব থাকা লাগেনা
বাবা: আমারে বইল্যা গেছস ?
আমি : হুম [এই হুম আমি ছাড়া আর কেউ শূনতে পায়না]
বাবা: নষ্ট হইয়া গেছস 
আমি : হুম 
বাবা: খারাপ হইয়া গেছস  
আমি :হুম
বাবা:পড়ালেখা নাই ?
আমি:হুম 
বাবা:আমার সব জমিজমা বিক্রি কইরা খাবি ।
আমি:হুম 
বাবা:আমি কষ্ট কইরা সব বানাইয়া দিয়া যাইতাছি তোমরা বিক্রি কইরা কইরা বউ নিয়া ঘুরবা 
আমি : হুম 
বাবা:নামাজ পড়ছস ?
আমি:হুম না
বাবা: আজকের থাইক্যা পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শূরু করো 
আমি :হুম 
বাবা:  ভবিষ্যতে আর কোনদিন আমারে না বইল্যা বাইরে থাকবানা ,কথাটা যেন মনে থাকে,আজকের মতো আর কিছু বললাম না
আমি :আচ্ছা [আমি ছাড়া আর কেউ শুনতে পায়না ]


আমি আবারও আমার বাবাকে না বলে রাতে বাইরে থাকি আবার সেই একই কথা এবং কথার শেষে ভবিষ্যতে আর কোনদিন আমারে না বইল্যা বাইরে থাকবানা ,কথাটা যেন মনে থাকে,আজকের মতো আর কিছু বললাম না:)

[আমার বাবা বাইরে থাকতে দেয়না এজন্য যে উনার ধারনা বাইরে থাকলেই ছেলেরা খারাপ হয়ে যায় কিন্ত আমি আমার কাছে একদম স্বচ্ছ শুধুমাত্ত নির্মল আনন্দের জণ্যই মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে রাতে বাইরে থাকি]

ছবিতে ঘুরে আসুন বান্দরবন [ছবি ব্লগ পার্ট ২]

ছবিতে ঘুরে আসুন বান্দরবন ছবি ব্লগ পার্ট ১ দেখতে এখানে ক্লিকান
প্রথম পোস্টে আমরা মেঘলাতে গিয়ে থেমে গিয়েছিলাম আজকে আমরা মেঘলার পরে নিলাচল থেকে শুরু করবো দেখা যাক আজকে কতদুর যাওয়া যায় 

মেঘলা থেকে নিলাচল যাবার পথে সামান্য সময়ের জন্য বিরতি (পুলাপাইনের দল মানুষ হইলিনা সব ছাদের উপরে)

যাক অবশেষে নিলাচলের প্রবেশ পথ খুজে পেলাম
একদিকে রোদ আরেকদিকে ছায়া,একদিকে মেঘ রোদের খেলা আরেকদিকে বৃষ্টি (বৃও দেওয়া অংশটিতে শুধু বৃষ্টি পড়ছে আর কোথাও বৃষ্টি নেই )

নিলাচলের উপর থেকে

নিলাচল পাহাড়ের উপরে হেলিপ্যাড(আর্মি ভাইদের জন্য)



নিলাচল পর্ব শেষ করে এবার আসলাম শৈলপ্রপাত
শৈলপ্রপাত যাবার পথে মাঝির শত নিষেধ সত্তেও আবার সবাই নৌকার ছাদে (ছাদ ভাইরাসে আক্রান্ত)
রুমা বাজার থেকে বগালেক যাবার পথে আবারও চান্দের গাড়ীর ছাদে । যাবার রাস্তা এতই ভয়ংকর যে আমি মনে মনে লা ইলাহা...ইয়া খোদা বাচাও আমারে বলা শুরু করে দিয়েছি পুরা রাস্তায় আমি আল্লাহ আল্লাহ করে কাটিয়েছি
রুমা বাজার থেকে বগালেক যাবার পথে হাটার রাস্তায়(আমাদের বাহিনীর ২নং রোগ যেখানেই যাবে হাতে লাঠি চাই)


ওরে বাপস !!! ধণ ধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা...............গানটা না গেয়ে থাকতে পারলাম না
বগালেকে আমাদের থাকার জায়গা


এই সেই বগালেক (সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে ঝোকের মাথায় খাড়া এক পাহাড়ে উঠে গিয়ে এই ছবি তুলেছিলাম পরে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়াতে আল্লাহ আল্লাহ করে পাহাড় থেকে নেমে এসেছি যদি সামান্য উল্টাপাল্টা হতো তাহলে সরাসরি বগালেকে)

বগালেকের সুযার্স্ত

আগামী পর্বে আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা ঝিরিপথ নিয়ে ছবি ব্লগ দেবো 
সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ

Coke Studio: আমার দেখা সেরা স্টুডিও কনসার্ট

Coke Studio সম্পর্কে প্রথম জানতে পারি আমার ভাইয়ের এক বন্ধুর মাধ্যমে ,উনি একদিন এসে আমাকে বললেন ,মামুন তুমি আমাকে কিছু ভিডিও ডাউনলোড করে দাও Coke Studio এর । আমি বললাম Coke Studio জিনিসটা আবার  কি ? উনি বললেন পাকিস্তানের একটা মিউজিক্যাল প্রোগাম যাতে পাকিস্তানি মিউজিক রথি মহারথিরা গান করে এবং তোমার প্রিয় রাহাত ফাতেহ আলি খানও গান করেছে এবং অসাধারণ একটা প্রোগাম । কিছু গান ডাউনলোড করে দেখি আসলেই অসাধারণ ,এক কথায় বলতে পারি আমার দেখা সেরা স্টুডিও কনসার্ট 

 Coke Studio হলো পাকিস্তানি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত খুবই জনপ্রিয় একটি স্টুডিও কনসার্ট এবং বর্তমানে Coke Studio এর সিজন ৩ চলছে  । ২০০৮ এর সালে প্রথম Coke Studio প্রচারিত হবার পর এর ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে প্রতিবছর Coke Studio এর নতুন নতুন পর্ব প্রচারিত হচ্ছে আর প্রতি পর্বেই পাকিস্তানি মিউজিকের রথি মহারথিরা অংশগ্রহণ করছে


Coke Studio তে মূলত প্রথাগত দেশীয়  মিউজিক,ওয়েস্টার্ন মিউজিক আর আধুনিক মিউজিক এর সংমিশ্রন করা হয়েছে আর এতেই মিউজিকের নতুন প্লার্টফরম সৃষ্টি হয়েছে এবং পাকিস্তানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ,নিচের মিউজিক ভিডিওটি দেখলে একটা ধারণা পাবেন 
 

আরও কিছু মিউজিক ভিডিও দিলাম নিচে 







 





Coke Studio এর সবকিছু মানে সবগুলো গানের ভিডিও অডিও আর ওয়ালপেপার ডাউনলোড করতে ভিজিট করতে পারেন কোক স্টুডিওর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট 
 অথবা ভিজিট করুন কোক স্টুডিওর ইউটিউব চ্যানেল  এ

আশা করি এইরকম মিউজিক্যাল প্রোগাম আমাদের দেশেও হবে ।

ছবিতে ঘুরে আসুন বান্দরবন [ছবি ব্লগ পার্ট ১]

বান্দরবন ঘুরে এসে বান্দরবন নিয়ে বিস্তারিত একটা পোস্ট দিয়েছিলাম পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিকান
আজকেও বান্দরবন নিয়ে পোস্ট তবে এখানে বর্ণণা থাকবেনা থাকবে শুধু ক্লিক ক্লিক মানে ছবি ভ্রমন
৩টি পার্টে বান্দরবনের ছবিগুলো প্রকাশ করবো আজকে প্রথম পার্ট দেখি আমরা কতদুর যেতে পারি 

bandarban
কুমিল্লা থেকে যাত্তা শুরু
bandarban
অনেক কষ্টের পরে বান্দরবনের দেখা পেলাম
 
bandarban
চান্দের গাড়ী ভাড়া করার সাথে সাথে সব গাড়ীর ছাদে (ভীতুরা নিচে)

bandarban
নীলাচল যাবার পথে সৌন্দের্য্য সামনে কি অপেক্ষা করছে তা টের পেলাম

bandarban
ওরে বাপস এত সুন্দর, এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে জনৈক সন্ঝিতা দাস এখান থেকে আত্নহত্যার চিন্তা করেছিলেন পরে আমাদের কারণে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছিলেন

bandarban
নিলাচলে গ্রুপ পিকচার কিন্তু লেখক অনুপস্হিত (হালকা কষ্টের ইমো হবে)

নিলাচল এর সৌর্ন্দয্য

bandarban
নিলাচল পার্ট শেষ করে আমরা আসলাম স্বর্নমন্দির ,মন্দিরে প্রবেশ করলে থাইল্যান্ডে আসছেন এই রকম ভাব আসতে পারে

bandarban
স্বর্নমন্দির এর রুপ

bandarban
বড় একটা ঘন্টা দেখতে পাবেন মন্দিরে (বাধ্য হয়ে লেখককে সামনে আসতেই হলো )

স্বর্নমন্দির

bandarban
স্বর্নমন্দির শেষ করে আসলাম মেঘলা নামক পার্কের মতো একটা জায়গায় এখানে আসলে সত্যিকরের ঝুলন্ত দুইটা সেতু দেখতে পাবেন

পানি দেখে আর থাকতে পারলাম না যার যা ছিলো তা নিয়েই ঝুলন্ত সেতু থেকে সরাসরি লাফ মারলাম পানিতে